মো:টিটুল মোল্লা।।
ফরিদপুর মহানগর কৃষক দলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক মোল্লা যার তুলনা সে নিজেই।আমার এই ছোট্ট জীবনে অনেক অনেক নেতা বা রাজনীতিবিদ দেখেছি।দেখেছি কতো ভারি ভারি নেতারা নিজের পিঠ ও পেট বাঁচানোর জন্য দলের সাথে বেঈমানী করেছে।দেখেছি কতো নেতাকে দলের সাথে বেঈমানী করে পল্টি দিয়ে অন্য দলে ঢুকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছের রুপ নিতে।আমার চোখে এই একজন মানুষকে দেখেছি যিনি দলের দুর্দিনে দলকে ছেড়ে না গিয়ে রাস্তায় থেকেছে। এত বাধা বিপত্তির পরেও বিভিন্ন নেতাকর্মী নিয়ে ওপেনে মিটিং মিছিল করেছে কখনোই টাকার কাছে বিক্রি হয়ে দলের সাথে বেইমানি করেনি।যিনি ইচ্ছা করলে তার এই অল্প বয়সেই কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে আঙ্গুল ফুলের কলা গাছ না বট গাছে রুপান্তরিত হতে পারতো কিন্তু সে কখনোই দলের সাথে বেইমানি করেনি।নিজে কষ্ট করে টাকা রোজগার করে তার বিভিন্ন নেতাকর্মীকে যাকে যতটুকু সম্ভব দিয়ে তাদের পাশে থেকেছেন।রাজবাড়ী রাস্তার মোড় থেকে আবু বক্কর সিদ্দিক মোল্লা যখন বিশালাকৃতির মিছিল নিয়ে বের হতেন,এখনকার অনেক বড় বড় নেতাদের তখন কেউ চিনতই না বললেই চলে।
তৎকালীন সময় সিদ্দিক মোল্লা যেই মিছিল নিয়ে বের হতো ফরিদপুরে এমন মিছিল নিয়ে সভাসমাবেশ খুব কম নেতাকেই দেখেছি।যদিও তখন আমি নিজেও সেই মিছিলের সাথে গিয়ে সুপার বিস্কুট খেয়েছি। আশা করি কমবেশি সকলেই বুঝতে পারছেন সুপার বিস্কুট খেয়েই সন্তুষ্ট থাকতেন সিদ্দিক মোল্লার মিছিলে যোগদানকারী নেতাকর্মীরা।নেতা হিসেবে সিদ্দিক মোল্লাকে ভালোবেসেই এ সকল নেতাকর্মী তার ডাকে সাড়া দিতেন।এখন তো অনেক অনেক নেতাকর্মী আছে যারা টাকা খরচ না করলে একটা লোক তাদের পাশে দাঁড়াবে কিনা আমার সন্দেহ হয়। আবু বকর সিদ্দিক মোল্লা এমন একজন নেতা বা রাজনীতিবিদ যিনি ডাক দিলে নেতাকর্মীরা কোন কিছুর আশা না করেই তাদের ভালোবাসার নেতা সিদ্দিক মোল্লার কাছে ছুটে আসেন।
আবু বকর সিদ্দিক খুব কম বয়সেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন আর ওই বয়সে এত এত ভালোবাসার নেতাকর্মী তিনি পেয়েছেন যা রাজবাড়ি রাস্তার মোড় বা তার আশপাশের কোন এলাকার কোন নেতা এই ভালোবাসা অর্জন করতে পারেনি। অনেক বড় বড় নেতা দেখলাম,দেখেছি তাদের নেতাকর্মীদের ভালোবাসা।যেমন নেতা তেমন তাদের চেলারা। কিন্তু আবু বকর সিদ্দিক মোল্লার ফরিদপুর জেলার চারপাশের এতো এতো ভালোবাসার নেতাকর্মী আছেন যারা কোন স্বার্থ ছাড়াই সিদ্দিক মোল্লার ডাকে ছুটে আসেন।
অন্যদিকে সিদ্দিক মোল্লা নিজে কষ্টের মাঝে থাকলেও তার নেতাকর্মীদের কখনো বুঝতে দেয়নি। সর্বদাই চেষ্টা করে গেছেন তার নেতাকর্মীদের পাশে থাকতে।
সত্যি বলতে কি নেতা তো সবাই হতে পারে আসল নেতা কয়জন হয় বলেন।
সিদ্দিক মোল্লা কিন্তু সিদ্দিক মোল্লাই যার কোন তুলনা নাই।
কারো বয়স আর চেহারা দেখে আন্দাজ করা যায় না সে কোন মাপের নেতা।সিদ্দিক মোল্লা এমন একজন নেতা যার পরিমাপ সবাই জানে না।সিদ্দিক মোল্লার সব থেকে বড় গুণ হচ্ছে তিনি তার কাছে থাকা বা তার জন্য মাঠে থাকা কোন নেতাকর্মীর বিপদ আপদ হলে যেন নিজেই পাগল হয়ে যায় কিভাবে তার নেতাকর্মীদের বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন এটা ভাবতে ভাবতে।তিনি শত কষ্ট হলেও তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান।
সব রাজনীতিবিদ কর্মীদের খবর ঠিকঠাক রাখতে পারেন না।আর এ কারণেই টাকা দিয়ে নেতাকর্মী ভাড়া করতে হয় সবাইকে দেখানোর জন্য।
সিদ্দিক মোল্লা এমন এক নেতা ডাক দিলেই মিছিলের সৃষ্টি হয়।
আমি টিটুল মোল্লা।আমার ভাই মহানগর কৃষকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক মোল্লার জন্য মন থেকে সর্বদাই দোয়া করি মানুষের ভালোবাসা নিয়ে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করবেন আল্লাহ যেন আপনাকে এইতোফিক দান করেন আমিন আমিন।।।
Leave a Reply