নিজস্ব প্রতিবেদক :
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে কৃষি জমি ও পুকুর থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শাহনাজ বেগম নামে এক ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের পশ্চিম বিঝারী এলাকা থেকে অবৈধভাবে ভুক্তভোগী শাহনাজ বেগমের কৃষি জমি ও পুকুর থেকে জোরপূর্বক বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। এতে পুকুরের তীরবর্তী বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বালু উত্তোলনের বিষয়টি স্থানীয় ড্রেজার মালিক আবু তাহের ও শাহিন কে একাধিকবার নিষেধ করলেও তারা জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এনিয়ে ভুক্তভোগী গত ২৮ জুলাই সোমবার নড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নড়ীয়া থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনো কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শাহনাজ বেগম।
ভুক্তভোগী শাহনাজ বেগম বলেন,”আমার জমি থেকে জোরপূর্বক ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন বালু তোলা হচ্ছে। গত সোমবার উপজেলা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনো কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমি বালু তুলতে নিষেধ করায় আমাকে হুমকি ধামকি দেয়। এভাবে বালু উত্তোলন করা হলে আমাদের কৃষি জমি ও বসতবাড়ী বিলীন হয়ে যাবে। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করি দ্রুত ব্যবস্থা দেন।”
স্থানীয় প্রতিবেশী রহমতুল্লাহ বলেন,”রাতে ঘুমাতে পারি না। ড্রেজারের শব্দে কান ঝাঝিয়ে যায়। বাড়ির পাশের মাটি সরে গিয়ে ভাঙনের মুখে পড়েছি। অথচ প্রশাসন চুপ। আমরা প্রতিবাদ করতে পারি না কারণ আমাদের হুমকি দেয়। ওরা বলে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছি। পুলিশ এসেছিলো কিন্তু আমাদের সঙ্গে কথা না বলে ওদের সাথে কথা বলে চলে যায়। এখানে ঘনবসতি এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলে আমাদের বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়বে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন,”অভিযোগ পেয়েছি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Leave a Reply