বিশেষ প্রতিনিধি।।
ফরিদপুরে রাতে বিয়ে করে সকালেই বউ আর টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও হয়েছে পুলিশ এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শরিফ।
তিনি বলেন আমি দীর্ঘ তিন বছর যাবত সাদিয়া আক্তার কনা নামক একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক করার পরে আমি গত ২৭ তারিখে তাকে বিয়ে করি বিয়ে করার পরে তাকে বাসায় নিয়ে গেলে আমি যখন ঘুমিয়ে পড়ি ঠিক তখনই আমার ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা নিয়ে নাহিদ নামের একটা ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার পরে তারা দুজন মিলে আমার কাছে ৭ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করনে।
মোঃ শরীফ (৩৬)পিতা ইদ্রিস আলি মাতুব্বর,
ভবুকদিয়া,নগরকান্দা,জেলা ফরিদপুর। ১ নং বিবাদী
সাদিয়া আক্তার কোনা(২২) মোবাইল- ০১৩ ০৯৮৫৬৫০৩।স্বামী শরিফ,পিতা কামাল হোসেন বাবু,সাং শোনা খোলা চন্ডীদাসী।২নং বিবাদী,মো: নাহিদ মোবাইল-০১৯২৭-৩২২১০৮ পিতা-অজ্ঞাত সাং-কাপুড়িয়া,সদরদি,ভাঙ্গা ফরিদপুর।গত ২৭/০৭২০২৫ ইং তারিখ আমার স্ত্রী ১ নং বিবাদী কে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক রেজিস্ট্রি কাবিনে পারিবারিকভাবে বিবাহ করিয়া আমার বাড়িতে নিয়ে আসি এবং একই তারিখ রাত অনুমান ১২ ঘটিকার সময় আমার স্ত্রী ১ নং বিবাদীকে সঙ্গে নিয়ে আমার q”eরুমে ঘুমাতে যাই।অতঃপর ২৮- ৭ -২০২৫ ইং তারিখ ভোর অনুমান ৫ঃ৩০ ঘটিকার সময় আমি ঘুম থেকে জেগে দেখতে পাই যে আমার স্ত্রী ১নং বিবাদী আমার রুমে নাই।অতঃপর আমি আরো দেখতে পাই যে আমার স্ত্রী ১নং বিবাদী স্বর্ণের একটি আংটি ৬ আনি যার মূল্য অনুমান ৬০ হাজার টাকা, একটি চেইন তার অনুমান ওজন ৮.৫ আনি,যার অনুমান মূল্য ১ লক্ষ টাকা,স্বর্ণের একটি পায়েল যার মূল্য ৮০ হাজার টাকা সর্বমোট ১ ভরি ৬ আনি স্বর্ণালংকার যার মোট অনুমান মূল্য ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। সাথে আমার ঘরের আলমারিতে আমার ব্যবসার কাজের জন্য রাখা নগদ ৮ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে আমার বাসার কাউকে কোন কিছু না বলিয়া আমার বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছে।এমতাবস্থায় আমি আমার স্ত্রী ১ নং বিবাদী কে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর এক পর্যায়ে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি যে ১ নং বিবাদী ২ নং বিবাদীর প্ররোচনায় কু পরামর্শে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা নিয়ে ২ নং বিবাদীর সহিত পালিয়ে গেছে।পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে ও ২ নং বিবাদীদের বিভিন্ন সময় তাদের মোবাইল থেকে আমার মোবাইলে কল করিয়া আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করিয়া আমার নিকট আরো সাত লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছেন।
এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি আমি বুঝে উঠতে পারছি না।
আমি প্রসাশনের কাছে আমার টাকা পয়সা পাওয়া সহ ঐ মেয়ে এবং তার প্রেমিক পুলিশের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে ২ নং বিবাদী নাহিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কনার সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আমি ওর বিয়ের আগের দিন সারারাত কনা সাথে ছিলাম। সকালে সে আমার সাথে থেকে ওখানে গিয়েছে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় স্বামী বানিয়ে ঘর ভাড়া রেখেছি আপনার যদি দরকার হয় তাহলে ওর ডিএনএ টেস্ট করলে পেয়ে যাবেন। তাহলে কণা কেন আমার সাথে এমন করবে এ বিষয়টি কনার ভাই বোন বান্ধবী বাবা মা সকলেই জানেন। কনা যদি আমার কাছে না থাকে তাহলে আমি আত্মহত্যা করব।
এ বিষয়ে সাদিয়া আক্তার কণা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি শরিফের সাথে থাকতে চাই না এই বিয়ে কে আমি মানি না।
ছাদিয়া আক্তার কনা’র বাবা কামাল হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়,তিনি এ বিষয়ে নিয়ে কোন কিছু জানেন না এবং সে তার মেয়েকে তেজ্য করে দিবেন বলে জানান।