মো:টিটুল মোল্লা,, ফরিদপুর।। ফরিদপুর সদরের সরকারি হেলিপোর্ট বাজারের মাছ বাজারের নির্মিত হেলিপোর্ট বাজার মৎস ব্যবসায়ী সমবায়ী সমিতি লিঃ নামে একটি সমিতি যার রেজিষ্ট্রেশন নং-৪৮।এই সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের লালসার শিকার সাধারণ মাছ বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা এমনটাই অভিযোগ পাওয়া যায় ভুক্তভোগী সাধারণ মাছ ব্যবসায়ী সহ পাশের দোকানদারদের কাছে থেকে। ভুক্তভোগীরা জানায়,হেলিপোর্ট বাজারের মাছ বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা খোলামেলা পরিবেশে ব্যবসা করায় ফরিদপুর পৌরসভা থেকে মাছ ব্যবসায়ীরা যাতে করে রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ের সময়েও একটু শান্তিতে বসে ব্যবসা তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে তার জন্য মাছ বাজারটিতে উপরে টিনসেটের চাল এবং তাদের বসার জন্য নিচে ইট,বালু,সিমেন্ট দিয়ে বসার স্থান করে দিয়েছেন। আর এই বিষয়টি কাজে লাগিয়ে এই বাজারের সমিতির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ হালদার এবং সাধারণ সম্পাদক সমর কুমার মালো সাধারণ এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীর কাছে থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা।। ব্যবসায়ীদের ধরন এবং স্থান বুঝে টাকার অংক নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। কাজটি যখন নির্মানাধীন ছিলো তখন থেকেই পজিশন বা বিট পেতে টাকা লাগবে বলে ব্যবয়ীদের কাছে থেকে ৫ হাজার ১০ হাজার ১৫ হাজার এমন করে বিভিন্ন জনের কাছে থেকে টাকা নেন এই সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ কয়েকজন।সাধারন সম্পাদক সমর কমার মালোর নিজ মুখের স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে আছে। টাকা না দিলে এবং কারো সাথে আলাপ আলোচনা করলে বাজারে বসার স্থান এবং ব্যবসা করতে দিবেন না এমনটাই হুমকি দিচ্ছেন সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বলে অভিযোগ করেন একাধিক ব্যবসায়ী। পরিমানে টাকা নিয়েছেন বলেও দাবি করেন এ সকল মাছ ব্যবসায়ী। সাধারণ মাছ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন,আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই হেলিপোর্ট বাজারে খোলামেলা পরিবেশে অনেক কষ্ট করে মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেছি।এটা দেখে সরকার থেকে আমাদের জন্য একটু বসার স্থান করে দিয়েছেন অথচ আমরা টাকা না দিলে আমাদের স্থান থাকবেনা ব্যবসা করতে দিবেনা কেনো।সরকার তো আমাদের কোনো টাকা দেয়া লাগবে এমন কিছু বলেনি তাহলে কেনো আমরা টাকা দেবো। হেলিপোর্ট মাছ বাজারের পুরাতন মাছ ব্যবসায়ী বিপুল বলেন,আমি এই বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছি।আমার কাছে প্রথম এক লক্ষ টাকা দাবি করেন। এর পরে আমরা আমাদের কাউন্সিলর রাজীব মোল্লার কাছে গিয়েছিলাম বলে আরো বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন এরা। এই বাজারের আড়ৎদার চিত্র বলেন,আমার কাছে থেকেও ২৫০০০/= টাকা নিয়েছেন।এরকম সকল মাছ ব্যবসায়ীদের লাছে থেকে নিম্ন বিশ হাজার(২০০০০/=) থেকে শুরু ৩০-৪০-৫০-৬০ হাজার করে সর্বোচ্চ লক্ষ টাকার কথাও শোনা গেছে।। এই বাজারের আড়ৎদার চিত্র বলেন,এখানে আনুমানিক বিট বসানো হয়েছে ৬২-৬৪ টি এবং আড়ৎদার ১৪-১৫ টি। আমি নিজেও ২৫ হাজার টাকা দিয়েছি। ৬৪ টি ভিট দোকান নিম্নতম ২০০০০/= করে ধরলেও মোট ১২,৮০,০০০/= এবং আড়ৎদার যারা তারা ৫০ হাজার করে ধরা হয় তাহলে আসে ৭,০০০০০/= টাকা তাহলে আনুমানিক বিশ লক্ষ (২০,০০০০০)টাকা কোথায় গেলো। এ বিষয় জানতে চাইলে হেলিপোর্ট বাজার মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সমর পোদ্দার বলেন,এখানে কয়টি ভিট আর কয়টি আড়ৎদার বসানো হয়েছে তার তালিকাটিও আমার কাছে নেই।এগুলো যা করার পৌর মেয়র অমিতাভ বোস,কাউন্সিলর গোলাম নাসির এরাই জানে।আমরা ছোটো মানুষ আমাদের বলে দিয়েছেন, তোমাদের কিছু করা লাগবেনা আমরাই যা করার করবো।পরে তারা কাকে কোথায় বসিয়েছেন তারাই ভালো জানেন। টাকা নেওয়ার কথা জানতে চাইলে সমর পোদ্দার টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,,কারো কাছে থেকে পনেরো হাজার,কেউ বিশ হাজার, কেউ দশ হাজার যার কাছে থেকে যা নেয়া গেছে তাই নেওয়া হয়েছে।টোটাল কতো নিয়েছেন,কি করেছেন এগুলোর খবরটা মেয়র মহোদয়, নাসির ভাই এরাই ভালো জানেন।এ-সময় কাউন্সিলর রাজিব,কাউন্সিলর নুরুলইসলাম মোল্লা’সহ অনেকেই ছিলো।। ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সলর আরাফাত হোসেন রাজিব মোল্লা এ বিষয়টি নিয়ে কি জানেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,হেলিপোর্ট মাছ বাজারে গুটি কয়েকজন লোক একত্রিত হয়ে বাজার টিকে চুষে খাচ্ছে।যারা দোকানঘর নিয়েছে তারাও এখানে এসে যায়গা নিয়েছে।জীবনে যারা মাছ বাজারের কাছেও যায়নি তারাও যায়গা দখল করে আছে।হেলিপোর্ট বাজার মৎস ব্যবসায়ী সমবায়ী সমিতির সভাপতি রবি হালদার,সাধারণ সম্পাদক সমর পোদ্দার, আড়ৎদার চিত্র,লিপন আরো কয়েকজন মিলে হেলিপোর্ট মাছ বাজারে একটা চক্রতে রুপান্তরিত হয়েছে।। টাকা পয়সা নিয়ে কথা বললে তিনি বলেন,এগুলো মিথ্যা কথা আপনি মেয়র মহোদয়ের সাথে কথা বলে রিপোর্ট টা প্রকাশ করে দিবেন।এদের শিক্ষা হওয়ার দরকার আছে।
Leave a Reply