নিজস্ব প্রতিবেদক :
শরীয়তপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইদের লাঠির আঘাতে নিহত আংগারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক সুজন সাহার সৎকার সম্পন্ন হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর ২টা থেকে শরীয়তপুর পৌরসভার দক্ষিণ মধ্যপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় তার সৎকার কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়িতে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইদের লাঠির আঘাতে শিক্ষক সুজন সাহা নিহত হন।
এ দিকে এ ঘটনায় চাচা শান্তি সাহা, চাচাতো ভাই সুদর্শন সাহা, সনদ সাহা ও চাচি শংকুরি সাহা সহ ৯ জনকে আসামী করে পালং মডেল থানায় মামলা করেছেন নিহতের ভাই অঞ্জন সাহা। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন পালং মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. আবির হোসেন।
আজ বুধবার বিকেলে নিহত শিক্ষক সুজন সাহার বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির আঙ্গিনায় তার সৎকার চলছে। আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা বাড়িতে ভিড় করে আছেন। তারা কিছুতেই শিক্ষক সুজন সাহার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেনা। সবাই বলছেন বড় ভালো লোক ছিল শিক্ষক সুজন সাহা।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, তিন ভাই সুজন সাহা, অঞ্জন সাহা ও চঞ্চল সাহার সাথে চাচাতো সুদর্শন সাহা ও সনদ সাহার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলছে।
বিরোধপূর্ণ জায়গায় বেড়া দেওয়া ও গাছ তুলে ফেলাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে প্রথমে বাড়ির মহিলাদের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের কাঠের আঘাতে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন শিক্ষক সুজন সাহা। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ঢাকা নেওয়ার পথে বিকাল ৩টার দিকে জাজিরা এলাকায় সুজন সাহা মারা যান।
সুজন সাহার ভাই অঞ্জন সাহা বলেন, চাচাতো ভাই সুদর্শন সাহা ও সনদ সাহার সাথে আমাদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তারা বিরোধপূর্ণ জমিতে বেড়া দেন এবং আমাদের গাছ কেটে নিয়ে যান। এর প্রতিবাদ করায় চাচা শান্তি সাহা, চাচাতো ভাই সুদর্শন সাহা, সনদ সাহা ও চাচি শংকুরি সাহা মিলে আমার ভাই সুজন সাহাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
পালং মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত), মো. আবির হোসেন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্কুল শিক্ষক নিহত ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
Leave a Reply