নিজস্ব প্রতিবেদক :
সকালে পরীক্ষা দিতে মাদরাসার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী আমেনা আক্তার রূপা (১৫)। কিন্তু মাদরাসায় পৌঁছে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া হয়নি তার। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে সড়কের পাশের ধান ক্ষেতে পাওয়া যায় আমেনার মিথর দেহ।
আমেনা শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়ন ৯নম্বর ওয়ার্ডের মৃধা কান্দি গ্রামের মান্নান ঢালীর ছোট মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী।
পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ক্লাশ পরীক্ষা চলছিল আমেনার। ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রতিদিনের ন্যায় আজও সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হন আমেনা। কিন্তু তার ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নেওয়া হয়নি। পরীক্ষা শেষে সহপাঠীরা বাড়ি ফিরেছে। কিন্তু আমেনা বাড়ি ফেরেনি। সহপাঠীরা স্বজনদের জানান, আজ আমেনা মাদ্রাসায় যায়নি।
শুরু হয় পরিবারে উৎকণ্ঠা। মাদরাসায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আমেনা মাদ্রাসায় যায়নি। এরপর শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এক পর্যায়ে কোরালতলী সড়কের পাশে ধানের জমিতে জমে থাকা পানির নিচে ঘাসের মধ্যে আমেনার নিথর দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর মেয়েটিকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে।
নিহতের চাচা কালাম ঢালী বলেন, আমেনা প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে কোড়ালতলী এলাকার সড়কের উত্তর পাশে হাসেম হাওলাদারের ধানক্ষেতে জমে থাকা পানিতে ঘাস দিয়ে চাপা দেয়া অবস্থায় আমেনার লাশ পাওয়া যায়। আমাদের ধারণা কেউ আমেনাকে হত্যা করে লাশ গুম করে রেখেছে। আমি চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমার ভাতিজীর হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।
ভেদরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) পারভেজ আহমেদ সেলিম বলেন, আজ বিকাল ৩টার দিকে চর কোড়ালতলী এলাকার সড়কের পাশে ধান ক্ষেত থেকে আমেনা নামে মাদ্রাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply